কোটি টাকা আয় করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের ১০টি উপায়
কোটি টাকা আয় করা এটি একটি স্বপ্নের মতো। আপনি চাইলেই আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তর করতে পারেন। কোটি টাকা আয় করার আগে আপনাকে জানতে হবে আয় করার কৌশল।বর্তমানে আয় করার সঠিক গাইডলাইন খুজে পাওয়া খুব কঠিন। আশা করি এই আটিকেলটি পড়ার পরে আপনি সঠিক ধারনা পেয়ে যাবেন।
বর্তমান পৃথিবী হয়ে গেছে অনলাইন কেন্দ্রিক। এখন ঘরে বসে আমরা সারা বিশ্বের খবর নিতে পারি। কিন্তু অতিতের পৃথিবী এমন ছিলো না আবার সামনের পৃথিবী ও এমন থাকবে না, আরও স্মাট ও অনলাইন নির্ভর হয়ে যাবে। এখন যেমন আপনি ঘরে বসে যেকোন জিনিস ক্রয় করতে পারেন তেমনি ভাবেই অনলাইন থেকে কোটি টাকা ইনকাম করতে পারেন। নিচে ব্যাখ্যা করা হলোঃ
পেজ সূচিপত্রঃ কোটি টাকা আয় করার স্বপ্ন পূরনের উপায়
- কোটি টাকা আয় করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের ১০টি উপায়
- ফ্রিল্যান্সিং করে যেভাবে কোটি টাকা আয় করবেন
- ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আয় করুণ কোটি টাকা
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুণ কোটি টাকা
- ব্লগ সাইটের মাধ্যমে কিভাবে কোটি টাকা আয় করা যায়
- ইউটিউব থেকে আয় করুণ কোটি টাকা
- কিভাবে ফেসবুক থেকে কোটি টাকা আয় করবেন
- গ্রাফিক ডিজাইন করে যেভাবে আয় করবেন কোটি টাকা
- প্রোগ্রামিং করে আয় করুণ কোটি টাকা
- ডিজিটাল কোর্স বিক্রি করে আয় করুণ কোটি টাকা
- ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করুন কোটি টাকা
কোটি টাকা আয় করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের ১০টি উপায়
তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর এই বিশ্বে আপনি চাইলে সব কিছুই সম্ভব। বর্তমান বিশ্ব এখন
আমাদের হাতের মুঠোয়। আমরা এখন ঘরে বসেই সারা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে পারি সকল
ধরণের খবর নিতে পারি। অনলাইন নির্ভর এর দুনিয়াতে আপনি চাইলে কিনা সম্ভব। তথ্য
প্রযুক্তিও এই অপার সম্ভাবনা ঘরে বসে আয় করার বিষয়টি সত্য প্রমান করে দিয়েছে।
অনলাইনে কাজ করে আপনি সহজেই কোটি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি মনে করেন আজকে শুরু করলেন আর আজকে থেকেই টাকা আসবে ধারণাটি সম্পুর্ণ
ভুল। আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন কিন্তু আপনার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও
সঠিক গাইড লাইনের প্রয়োজন। অনলাইনে অনেক প্রতারনামুলক পোষ্ঠ পাবেন যারা বলে থাকে
আজ থেকেই ইনকাম করুন, হালকা কিছু কাজ করে ইনকাম করুন, প্রতিদিন ১ঘন্টা কাজ করে আয়
করুন লাখ টাকা এইসব প্রতারনা ছাড়া আর কিছুই না।
আপনারা সব সময় সাবধান থাকবেন এসব প্রতারণামুলক পোষ্ট থেকে। ভুলেও এদের
ফাঁদে পা দিবেন না। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও সঠিক গাইড লাইন হতে পারে আপনার সফলতার চাবিকাঠি। এই আটিকেলের সঠিক গাইডলাইনের সাথে বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে । এই পোষ্টটি আপনি সম্পুর্ণ পড়ার মাধ্যমে সঠিক গাইডলাইন পেয়ে
যাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে যেভাবে কোটি টাকা আয় করবেন
বাংলাদেশের আয়তন অনুযায়ী জনসংখ্যা অনেক বেশি। জনবহুল দেশে শিক্ষীতর হার অনুযায়ী
চাকরির সংখ্যা অনেক কম। বর্তমান বাজারে চাকরি সোনার হরিনের ন্যায় হয়ে গেছে। তাই
আপনি চাকরি করে কোটি টাকা ইনকাম করবেন ভাবাটাও ভুল। আবার ব্যবসা করবেন তাতে অনেক
টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন যা সবার পক্ষে সম্ভব না। আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে
কোটি টাকা আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়না এখানে
শুধু আপনাকে দক্ষ হতে হয়। যেমন,
১.ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আয়ঃ অনলাইন মুক্তপেশার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল
মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটং মানে অনলাইনে পন্য বা সেবা বিক্রি করে আয়।আপনি নিজের
বা অন্য যেকোন কোম্পানির সাথে যুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের সেবা বা পন্য অনলাইনের
মাধ্যমে বিক্রি করে কমিশন নিয়ে আয় করতে পারবেন।
২.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মুলত ডিজিটাল
মার্কেটং এর একটি অংশ। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনার একটা ফেসবুক পেজ বা
ওয়েবসাইট থাকতে হবে। দেশের বা বিদেশের যেকোনো কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে তাদের
কোম্পানির সেবা বা পণ্য আপনার পেজে বা ওয়েবসাইটে প্রচারণার মাধ্যমে বিক্রিত পণ্য
বা সেবা থেকে কমিশন নিয়ে আয় করতে পারেন ।
৩.ব্লগ সাইট থেকে আয়ঃ গুগলে ওয়েবসাইট বানিয়ে লেখালেখি করে আয় করুন। আপনার
ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখে র্যাংক করিয়ে এডসেন্স থেকে এড
দেখিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
৪.ইউটিউব থেকে আয়ঃ ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আয় করুন। ইউটিউব থেকে আয় করার
জন্য আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল লাগবে,যা আপনি খুব সহজেই খুলতে পারবেন।
মানসম্মত ভিডিও বানিয়ে ভিউ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
৫.ফেসবুক থেকে আয়ঃ ফেসবুকেও ইউটিউবের মতো ভিডিও বানিয়ে আয় করা যায়। এখানে
ভিডিও ছাড়তে একটি পেজের প্রয়োজন হয়। পেজ খুলা অনেক সহজ এর অনেক ভিডিও আপনি
ইউটিউবে পেয়ে যাবেন।
৬.গ্রাফিক ডিজাইন করে আয়ঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত এক ধরনের আর্টস। এখানে ছবি,
লোগো, ব্যানার, পোষ্ঠার ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের ডিজাইন করে সেল করতে
পারবেন।বিভিন্নি কোম্পানিতে একজন দিজাইনার পদে চাকরি করে আয় করতে পারেন।
৭.প্রোগ্রামিং করে আয়ঃ প্রোগ্রামিং মূলত সফটওয়্যার ইঙ্গিনিয়ারিং এর অংশ।
প্রোগ্রামিং করার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরণের অ্যাপস, সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট
বানিয়ে আয় করতে পারেন।
৮.ডিজিটাল কোর্স বিক্রি করে আয়ঃ অনলাইনে শিখানোর জন্য বিভিন্ন টিউটর
ভিডিও বানিয়ে কোর্স আকারে বিক্রি করতে পারেন। যেমন, ডিজিটাল মার্কেটিং,
ওয়েব ডিজাইন,গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফেসবুক মনিটাইজেশন ইত্যাদি কোর্সের ভিডিও বানিয়ে
সেল করে ইনকাম করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আয় করুণ কোটি টাকা
অনলাইন মুক্তপেশার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটং
মানে অনলাইনে পন্য বা সেবা বিক্রি করে আয়।আপনি নিজের বা অন্য যেকোন কোম্পানির
সাথে যুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের সেবা বা পন্য অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে কমিশন নিয়ে
আয় করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিশাল প্লাটফ্রম। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে অনেক গুলো
সেক্টর রয়েছে। যেমন, SEO, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং,
ব্লগিং/কন্টেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি। যেকোনো একটি
বিষয়ে দক্ষ হয়ে আপনি কোটি টাকা আয় করতে পারবেন। প্রত্যেকটি বিষয়ে সুন্দর ও
বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলে।
একবারে বড় লক্ষ্য না ধরে ছোট লক্ষ্য ধরুন। আস্তে আস্তে দক্ষতা অর্জন করুন। কারণ
দক্ষতা না থাকলে মূলধন ইনকাম হবে না, অনলাইন থেকে ইনকামের দক্ষতায় মূলধন। আপনি
একজন দক্ষ ব্যক্তি হলে সব জায়গায় আপনার মূল্য থাকবে। বাইরের জগতে হয়তো দক্ষতা
ছাড়া অনেকে কাজ কাম করতে পারবেন কিন্তু অনলাইন জগতে দক্ষতা ছাড়া আপনার কোন
মূল্য নেই। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুণ কোটি টাকা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মুলত ডিজিটাল মার্কেটং এর একটি অংশ। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
করতে হলে আপনার একটা ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট থাকতে হবে। দেশের বা বিদেশের যেকোনো
কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে তাদের কোম্পানির সেবা বা পণ্য আপনার পেজে বা ওয়েবসাইটে
প্রচারণার মাধ্যমে বিক্রিত পণ্য বা সেবা থেকে কমিশন নিয়ে আয় করতে পারেন ।
বিভিন্ন ধরনের ই-কর্মাস কোম্পানি (অ্যামাজন,দারাজ,সফসি,আজকের দিল,রকমারি,টেন
মিনিটস স্কুল) যারা অনলাইনে ব্যাবসা করে থাকে তাদের সাথে যুক্ত হয়ে পণ্য সেল করে
ইনকাম করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজ করে মূলত তিনটি ধাপে।
১.মার্চেন্ট/বিক্রেতাঃ একটি কোম্পানি যাদের পণ্য আছে তারা সেগুলো বিক্রি করতে
চায়।
২.অ্যাফিলিয়েট/ প্রচারকারীঃ আপনি, যিনি মার্চেন্টের পণ্য বা সেবা প্রচার
করবেন।
৩.ক্রেতাঃ যিনি/যারা অ্যাফিলিয়েটের প্রচারের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয় করেন।
আপনি মূলত দুই নাম্বার পর্যায়ের ব্যাক্তি। আপনার কাজ পণ্য সেল করা। যদি
আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার পছন্দমতো একটি নির্দিষ্ট বিষয়
বেছে নিতে হবে। সম্পূর্ণ বিষয় সঠিকভাবে শেখার জন্য বাংলাদেশে অনেক ভালো ভালো
আইটি প্রতিষ্ঠান (Ordinaryit,
Creativeit, Uylab, softtech-it etc) আছে যাদের কাছে আপনি ট্রেনিং গ্রহণ করতে
পারবেন। নিয়মিতভাবে শিখুন এবং নতুন কৌশল প্রয়োগ করুন,তাহলে সফল হওয়ার সম্ভবনা
বাড়বে।
ব্লগ সাইটের মাধ্যমে কিভাবে কোটি টাকা আয় করা যায়
গুগলে ওয়েবসাইট বানিয়ে লেখালেখি করে আয় করুন। আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের
আর্টিকেল লিখে র্যাংক করিয়ে এডসেন্স থেকে এড দেখিয়ে টাকা ইনকাম করতে
পারেন। এটি ব্লগ থেকে আয়ের প্রচরিত এবং সহজ উপায়। এটির মাধ্যমে আপনার ব্লগে অ্যাড
দেখানো হয়। ভিজিটররা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে বিজ্ঞাপন দেখে তখন আপনি টাকা
পান।
ব্লগ ওয়েবসাইটে পণ্য বিক্রি করে টাকা আয় করা যায়। ডিজিটাল পণ্য, ই-বুক (e-book),
অনলাইন কোর্স, টেমপ্লেট, সফটওয়্যার, স্টক ফটো ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। স্পনসরড
কন্টেন্ট বা রিভিউ করে টাকা ইনকাম করা যায়।যখন কোনো ব্র্যান্ড আপনাকে তাদের পণ্য
বা সেবা নিয়ে আপনার ব্লগে লিখতে বা রিভিউ করতে বলে তখন আপনাকে অর্থ প্রদান
করে।
আপনার ব্লগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মানসম্মত ও ইউনিক কন্টেন্ট তৈরি করা যা
দর্শকের জন্য উপকারী হবে। নিয়মিত নতুন নতুন কন্টেন্ট আপডেট দেওয়া, SEO
করা,সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার ও গুগলে র্যাংক ধরে রাখা তাহলেই ওয়েবসাইট ভিজিটের
জন্য ভিউ থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে আয় করুণ কোটি টাকা
ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আয় করুন। ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনার একটি ইউটিউব
চ্যানেল লাগবে,যা আপনি খুব সহজেই খুলতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট লিখে
ইউটিউবে সার্চ দিলে অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন যা দেখে খুব সহজেই চ্যানেল তেরি করে
নিতে পারবেন। মানসম্মত ভিডিও বানিয়ে ভিউ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ইউটিউব থেকে
আয় করার জন্য মনিটাইজেশ অন করতে হবে।
মনিটাইজেশন অন করার জন্য আপনার ফেসবুক চ্যানেলে ১০০০ সাবক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা
ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। মনিটাজেশন অন হয়ে গেলে আপনি আপনার চ্যানেলে বিভিন্ন এড
দেখিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আসল ইনকাম আসবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও
থেকে। মান সম্মত ভিডিও বানিয়ে দর্শকে বেশি বেশি আর্কষন করতে পারলে আপনার ভিডিও তে
যত ভিউ হবে আপনি তত টাকা পাবেন।
এভাবে আপনি কিছুদিন সব নিয়ম মেনে একটু কঠোর পরিশ্রম করলে কোটি টাকার মালিক হয়ে
যেতে পারেন। বাংলাদেশে অনেক বড় বড় ইউটিউবাররা আছে। তারা মাসে অনেক টাকা আয় করে
দেখবেন। তাদের এই আয় টা কি একদিনের সম্ভব হয়েছে? না, এই আয়ের পিছনে আছে তাদের
অদম্য ইচ্ছা ও পরিশ্রম। তাই আপনাকে হতে হবে একজন পরিশ্রমী ব্যাক্তি।
কিভাবে ফেসবুক থেকে কোটি টাকা আয় করবেন
ফেসবুকেও ইউটিউবের মতো ভিডিও বানিয়ে আয় করা যায়। এখানে ভিডিও ছাড়তে একটি
পেজের প্রয়োজন হয়। পেজ খুলা অনেক সহজ এর অনেক ভিডিও আপনি ইউটিউবে পেয়ে যাবেন।
ভিডিও দেখে খুব সহজেই পেজ খুলে নিতে পারবেন। পেজ থেকে ইনকামের জন্য ফেসবুকের
মনিটাইজেশন শর্ত আছে যা পুরন করতে হয়।
মনিটাইজেশন শর্ত অনুযায়ী, পেজে ১০০০০ ফলোয়ার থাকতে হবে এবং ৬০ দিনে ৬০০০০০ মিনিট
ভিউ থাকতে হবে। আপনার পেজে কমপক্ষে ৫টি ভিডিও ও ৩মিনিটের বেশি সময়ের ভিডিও থাকতে
হবে। রিলস ভিডিও বানিয়ে আইয় করা যায়। রিলস ভিডিও বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় ছোট ভিডিও
কন্টেন্ট। লাইভ ভিডিওতে এড দেখিয়ে আর।
স্টারস থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ভিডিও থেকে দর্শকের ভালো লাগলে দর্শক
আপনাকে স্টারস কিনে পাঠাতে পারবে, যা আপনি পরে টাকাতে রূপান্তর করতে পারবেন।
আপনার ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে আপনি যেকোন কোম্পানির পন্য প্রচার করে বিক্রি করতে
পারবেন। বিক্রিত অংশ থেকে কমিশন নিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
গ্রাফিক ডিজাইন করে যেভাবে আয় করবেন কোটি টাকা
গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত এক ধরনের আর্টস। এখানে ছবি, লোগো, ব্যানার, পোষ্ঠার
ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের ডিজাইন করে সেল করতে পারবেন।বিভিন্নি কোম্পানিতে একজন
ডিজাইনার পদে চাকরি করে আয় করতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশে গ্রাফিক ডিজাইনারের
চাহিদা অনেক কিন্তু দক্ষ ডিজাইনার খুজে পাওয়া খুব কঠিন হয়ে গেছে। আপনি যদি একজন
দক্ষ ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে চাকরি ও ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে(upwork, fiverr, freelancer.com) ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন। আপনি যখন দক্ষ হয়ে যাবেন তখন এসব
মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করে আপনার বানানো ডিজাইন বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। আপনি একটা ডিজাইন তেরী করে বারবার বিক্রি করতে পারবেন এটি ভালো প্যাসিভ
ইনকামের উৎস। আবার আপনি চাইলে সরাসরি কায়েন্টের সাথে কন্টাক করে কাজ করতে
পারেন।
ডিজাইন টেমপ্লেট বিক্রি করে আয় করতে পারেন। Creative Market, Etsy এই ধরনের
প্লাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন টেমপ্লেট বিক্রি করে আয় করতে পারেন। আবার আপনি
চাইলে বিভিন্ন ডিজাইন সংস্থা বা বিজ্ঞাপন কোম্পানিতে ডিজাইনার পদে চাকরি করতে
পারেন। আপনার অভিজ্ঞতা আপনাকে নিয়ে যাবে উচ্চ আয়ের পর্যায়ে।
প্রোগ্রামিং করে আয় করুণ কোটি টাকা
প্রোগ্রামিং মূলত সফটওয়্যার ইঙ্গিনিয়ারিং এর অংশ। প্রোগ্রামিং করার মাধ্যমে আপনি
বিভিন্ন ধরণের অ্যাপস, সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট বানিয়ে আয় করতে পারেন।
প্রোগ্রামিং শিখে আপনি সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে চাকরি করতে পারেন। ওয়েব
ডেভেলপার হিসেবে কাজ করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে HTML, CSS, JAVASCRIPT, PYTHON,
PHP, C++, GIT, GITHUB ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তর দক্ষতা থাকতে হবে।
মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে আয় করতে পারবেন। Iso ও Android এর জন্য বিভিন্ন
রকমের অ্যাপ বানাতে পারেন আবার অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের গেম বানিয়ে বিক্রি করে আয় করতে পারেন। আপনার প্রোগ্রামিং দক্ষতা কে
কাজে লাগিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের গেম, অ্যাপ, সফটওয়ার বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার এই সেক্টরে অনেক বড় সুযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে (upwork, fiverr, freelancer.com) আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুজে নিতে পারবেন। কায়েন্টের সাথে সরাসরি
যোগাযোগ করে আপনার দক্ষতার প্রমান দিয়ে অনেক বড় বড় প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করে ইনকাম
করতে পারবেন। আপনার প্রোগ্রামিং দক্ষতার ভিডিও রেকর্ড করে অনলাইনে সেল করে টাকা
ইনকাম করতে পারবেন।
প্রোগ্রামারদের নিয়ে বিভিন্ন কমিউনিটিতে প্রতিযোগিতা বা হ্যাকাথন আয়োজন করা হয়।
যেখানে আপনি আপনার দক্ষতার প্রমান দিয়ে বিজয়ি হতে পারেন। এসব প্রতিযোগিতার প্রাইজ
মানি অনেক মোটা অংকের হয়ে থাকে। আপনি বিজয়ি হয়ে অনেক টাকা পুরুষ্কার পেতে পারেন।
এভাবে আপনি প্রোগ্রামিং দক্ষতা কাজে লাগিয়ে কোটি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ডিজিটাল কোর্স বিক্রি করে আয় করুণ কোটি টাকা
অনলাইনে শিখানোর জন্য বিভিন্ন টিউটর ভিডিও বানিয়ে কোর্স আকারে বিক্রি
করতে পারেন। যেমন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন,গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফেসবুক
মনিটাইজেশন ইত্যাদি কোর্সের ভিডিও বানিয়ে সেল করে ইনকাম করতে পারেন। উপরের যেকোনো
একটি বিষয়ের প্রতি দক্ষ হওয়ার পরে আপনি নিজে একটা প্রতিষ্ঠান দিতে পারেন।
আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে ক্লাস ভিডিও বানাবেন। সেই ক্লাস ভিডিও আপনি আপনার
প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিখাতে পারবেন এবং অনলাইনে
ওয়েবসাইট তৈরি করে ওয়েবসাইটে কোর্সের ভিডিও বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা মেন্টর নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আপনি
যদি নিজে প্রতিষ্ঠান দিতেন না পারেন তাহলে সেইসব প্রতিষ্ঠানের মেন্টর হিসেবে
চাকরি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি চাইলে ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন। ফেসবুকে পেজ খুলে বিভিন্ন
ধরনের আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে শিক্ষামূলক ভিডিও দিয়ে ভিউ থেকে ইনকাম
করতে পারেন আবার ইউটিউবেও চ্যানেল খুলে বিভিন্ন আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি
করে শিক্ষামূলক ভিডিও দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করুন কোটি টাকা
অনলাইনে সবচাইতে সহজে ইনকামের যে সেক্টরগুলো রয়েছে ইমেইল মার্কেটিং তার মধ্যে
অন্যতম। ইমেইল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। এই দক্ষতাটি অর্জন করতে
আপনাকে বিশেষ পরিশ্রম করতে হবে না। কিছুদিন মনোযোগ দিয়ে দেখলে আপনি এই সেক্টর
থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং মূলত ইমেইলের মাধ্যমে মার্কেটিং করা কে বোঝায়। একজন ইমেইল
মার্কেটার এর কাজ বিভিন্ন কোম্পানি পণ্য বা সেবার প্রচারণা ইমেইলের মাধ্যমে
কাস্টমারের সামনে করা। এখানে মূলত ইমেইল করার মাধ্যমে কাস্টমারকে প্রোডাক্ট কিনতে
আগ্রহী করানো হয়।এ দক্ষতাটি আপনি দুই ভাবে কাজে লাগাতে পারেন।
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন আবার ই কমার্স কোম্পানিগুলোর সাথে
চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের পণ্য ও সেবা প্রচার করে আয় করতে পারেন। এখানে ইনকাম
নির্ভর করে পণ্য সেল করার উপর। কারণ সম্পূর্ণ প্রসেসটি হয়ে থাকে চুক্তিভিত্তিক ও
কমিশনের মাধ্যমে। তাই এখানে আপনি যত সেল করতে পারবেন তত বেশি ইনকাম হবে।
লেখকের মন্তব্যঃ
আপনি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হয়ে কোটি টাকা আয় করতে পারেন। উপরের উল্লেখিত
বিষয়গুলোর মধ্যে যেকোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে আপনি কোটি টাকার মালিক হওয়ার
স্বপ্ন পূরন করতে পারেন। আমার জীবনের ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আটিকেলটি
লিখেছি।
অনেক রিসার্চ করার পরে আপনাদের সাথে আমার জিবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। আমার লেখা
আটিকেলটি সম্পুর্ণ পড়ার পরে অনলাইন জগত নিয়ে আর কোন কনফিউশন থাকবে না।
ক্যারিয়ারের সাকসেস হওয়ার জন্য এই আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মোঃ ফাইসাল আহমেদ
Ronginpata.com সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।
comment url