কম খরচে রাজশাহী থেকে সাজেক ভ্রমন ১০টি ট্রিকস
বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটক স্থানগুলোর মধ্যে সাজেক ভ্যালি অন্যতম জনপ্রিয় একটি
পর্যটক কেন্দ্র। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উচ্চতায়। বাংলাদেশের "Queen
of Hills" ও "Roof of Rangamati" নামে পরিচিত।
সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার অন্তভুক্ত। কিন্তু ভৌগলিক অবস্থানের কারণে খাগড়াছড়ির
দীঘিনালা হয়ে এখানে খুব সহজেই পোঁছানো যায়। সাজেক খাগড়াছড়ি থেকে ৭০ কি.মি
আর দীঘিনালা থেকে মাত্র ৪০ কি.মি।
পেজ সূচিপত্রঃ কম খরচে রাজশাহী থেকে সাজেক ভ্রমন
- কম খরচে রাজশাহী থেকে সাজেক ভ্রমন ১০টি ট্রিকস
- রাজশাহী থেকে সাজেক কিভাবে যাবেন
- দীঘিনালা থেকে সাজেক যাওয়ার উপায়
- সাজেকের জনপ্রিয় স্থানসমুহ
- সাজেক ভ্রমণের উপযুক্ত সময় কখন?
- জনপ্রিয় কিছু রির্সোট ও ভাড়ার তালিকা
- রির্সোটের নাম ও কন্টাক নাম্বার
- কম খরচে কিছু রির্সোটের তালিকা
- সাজেকের বিভিন্ন ধরণের খাবারের তালিকা
- সাজেক ভ্রমনের সব খরচের তালিকা
কম খরচে রাজশাহী থেকে সাজেক ভ্রমন
রাজশাহী থেকে সাজেক যাওয়ার জন্য গাড়ি করে ১৩ ঘন্টা ৪ মিনিট সময় লাগে। রাজসাহী থেকে সাজেক ভ্যালির প্রায় ৫৭৯ কিলোমিটার। রাজশাহী থেকে সাজেক যাওয়ার সরাসরি কোন গন-পরিবহন নাই। সাজেক যাওয়ার জন্য আগে আপনাকে খাগড়াছড়ি যেতে হবে। আবার রাজশাহী থেকে সরাসরি খাগড়াছড়ি যাওয়ারও কোনো গণপরিবহন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা যেতে হবে ঢাকা থেকে তখন খাগড়াছড়ির বাস ধরতে হবে। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার জন্য সৌদি শ্যামলী এস আলম শান্তি পরিবহন ঈগল ইত্যাদি পরিবহনের বাস পাওয়া যায়। নন এসি বাসের ভাড়া প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ এবং এসি বাসের ভাড়া 700 থেকে 1200 টাকা হয়ে থাকে। শান্তি পরিবহনের বা সরাসরি দীঘিনালা পর্যন্ত যায় এর ভাড়া প্রায় ৭৫০ টাকা। রাজশাহী থেকে ঢাকা যাওয়ার নন এসি পরিবহনের ভাড়া ৭৫০ টাকা আবার এসি পরিবহনের ভাড়া ১৪০০ টাকা। বাসে না গিয়ে আরো কম খরচে যেতে চাইলে আপনি ট্রেনে যেতে পারেন যেখানে রাজশাহী থেকে ট্রেনের ভাড়া ৪০৫ টাকা। তাহলে আপনার রাজশাহী থেকে ট্রেনে আসতে খরচ করছে ৪০৫ টাকা এবং ঢাকা থেকে ডাইরেক্ট দীঘিনালা যেতে খরচ করছে ৭৫০ টাকা। মোট খরচ আসছে ১১৫৫ টাকা। আর আপনি যদি বাসে আসেন তাহলে ১১৫০ এর সাথে আর ২৫০ যোগ করতে হবে।খাগড়াছড়ি যাওয়ার পর খাগড়াছড়ি থেকে বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে আপনি সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন।
রাজশাহী থেকে সাজেক কিভাবে যাবেন
রাজশাহী থেকে ডাইরেক্ট সাজেক যাওয়া যায় না বা সেখানে যাওয়ার জন্য সরাসরি পরিবহন নেই। সাজেক যেতে হলে আগে আপনাকে রাজশাহী থেকে ঢাকা যেতে হবে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের দূরত্ব 70 কিলোমিটার। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার জন্য আপনি জিভ ভাড়া করতে পারেন একটি জিপে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন যেতে পারে। আবার খাগড়াছড়ি থেকে ডাইরেক্ট জিপ রিজার্ভ না নিয়ে আপনি আগে দিঘিমালা গিয়ে তারপরে ওখান থেকে সাজেক যেতে পারবেন। দীঘিনালা থেকে সাজেকের দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। দীঘিনালা থেকে আপনি মোটরসাইকেল রিজার্ভ করে সাজেক ভ্যালি যেতে পারেন। মোটরসাইকেলের ভাড়া হাজার থেকে বারোশো টাকা হয়ে থাকে। আবার সিএনজি রিজার্ভ করেও যেতে পারেন কিন্তু রাস্তা বিপদজনক হয় এটি এড়িয়ে চলাই ভালো।
দীঘিনালা থেকে সাজেক যাওয়ার উপায়
দীঘিনালা থেকে সাজেক মাত্র ৪০ কিলোমিটার। দীঘিনালা থেকে আপনি মোটরসাইকেল রিজার্ভ করে নিয়েও সাজেক যেতে পারেন। দীঘিনালা থেকে সাজেক যাওয়ার ভাড়া মোটরসাইকেলে হাজার থেকে বারোশো টাকা পড়ে। আবার আপনি চাইলে সিএনজির হিসাব করে নিও যেতে পারেন। তবে সিএনজি না নেওয়া ভালো হবে কারণ রাস্তা আঁকাবাঁকা হওয়ার জন্য সিএনজি থেকে রিক্স হয়ে যাবে।
সাজেকের জনপ্রিয় স্থানসমুহ
সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটক কেন্দ্র। এখানে ঘোরার মতো অনেক জায়গা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলঃ
হ্যালিপ্যাডঃ সাজেকে ৩ টি হ্যালিপ্যাড রয়েছে। এখান থেকে সূর্যোদয় ও সুর্যস্ত দৃশ্য দেখার একটি চমৎকার স্থান। মেঘের খেলা দেখার জন্য এটি একটি জনপ্রিয় স্থান।
কংলাক পারাঃ এখান থেকে সূর্যোদয় ও সুর্যস্ত দৃশ্য দেখার একটি চমৎকার স্থান। মেঘের খেলা দেখার জন্য এটি একটি জনপ্রিয় স্থান। এটি সাজেকের সবচাইতে উঁচু স্থান। কংলাক পাড়া মূলত লুসাই জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা।
রুইলুই পাড়াঃ সাজেক ভ্যালির প্রবেশ মুখেই এই পাহাড়টি অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন জনপ্রিয় রির্সোট ও কটেজ রয়েছে।
কমলক ঝর্ণাঃ রুইলুই পাড়া থেকে প্রায় ২-৩ ঘণ্টার ট্রেকিং করে এই সুন্দর ঝর্ণাটিতে যাওয়া যায়। যারা ট্রেকিং এবং প্রাকৃতিক সোন্দর্য পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ অভিজ্ঞতা।
সাজেক ভ্রমণের উপযুক্ত সময় কখন?
জনপ্রিয় কিছু রির্সোট ও ভাড়ার তালিকা
সজাগ ভ্যালিতে অনেক জনপ্রিয় রিসোর্ট আছে যা আপনি আপনার মনের মতো করে বেছে নিতে পারবেন। বাংলাদেশের মধ্যে সবচাইতে সুন্দর পর্যটক কেন্দ্র ধরা হয় সাজেককে। এখানে বেড়াতে যাওয়ার জন্য কয়েকদিনের সফরে যেতে হয়। যাওয়ার পর থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা প্রয়োজন পড়ে এর জন্য সেখানে অনেক ভালো ও জনপ্রিয় কিছু রিসোর্ট আছে।
১.সাজেক রিসোর্টঃ এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরিচালিত একটি রেশন এখানকার সুযোগ সুবিধা অনেক ভালো এবং রুমগুলো অনেক সুন্দর।ভাড়া নান এসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা তবে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে কর্মরত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট রয়েছে।
২.অরুন্ময় রিসোর্টঃ এটি সজাগের আরেকটা জনপ্রিয় রয়েছে রিসোর্ট। এটি মূলত তার সাজসজ্জার জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এর ভাড়া তুলনামূলক সাজেক রিসোর্ট এর চাইতে অনেক কম। সাড়ে চার হাজার থেকে 5 হাজার টাকা মাত্র।
৩.মেঘ মাচানঃ সুন্দর ভিউ ও তুলনামূলক কম খরচের জন্য এদের জনপ্রিয়।ভাড়া তুলনামূলক অনেক কম বাম্বু ঘটেছে ৩৫০০ টাকা এবং ইডেন কটেজে চার হাজার টাকা।
৪.মেঘ পুঞ্জি রিসোর্টঃ এর চারটি স্কটেজ আছে সুন্দর ডেকোরেশন ওর লেন্স ডেসক্রিপ্ট ভিউয়ার জন্য বিখ্যাত। ভাড়া ৪ হাজার থেকে ৪৫০০ টাকা মাত্র।
৫.রিসোর্ট রংরাংঃ এটি সাজেকের অন্যতম জনপ্রিয় দেশক এর ডিজাইনের জন্য এটি বিখ্যাত। এর ভাড়া কাপল রুম ২৫০০ এবং ডাবল রুম ৩০০০।
৬.শম্পারী রিসোর্টঃ খোলামেলা পরিবেশের জন্য বিখ্যাত এখানে হানিমুন কাপড় গ্রুপ ও ফেন্ড কক্ষ রয়েছে। কক্ষ অনুপাতে এর ভাড়া ২৫০০ থেকে ৩৫০০ এর মধ্যে হয়ে থাকে।
Ronginpata.com সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।
comment url